প্রেমের সূত্রধরে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন করতেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তুহিন এর বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ দায়ের করেন কলেজের চতুর্থ বর্ষের নেপালি এক ছাত্রী।
অভিযুক্ত ডা. তুহিন কে আটক করেছে পুলিশ।
গত রোববার রাতে শহরের ধানবান্ধি মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ ডা. তুহিনকে আটক করে। ভুক্তভোগী ওই তরুণী নেপালের নাগরিক। তিনি ওই কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন; নেপালি ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম আকরাম হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ঘটনার সব কিছু জানা যাবে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ; লেখাপড়ার সুবাদে ডা. তুহিনের সাথে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন। সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিলে চিকিৎসক তুহিন অস্বীকার করেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষকে জানান এবং সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ডা. তুহিনকে রাতেই আটক করে পুলিশ।